সেবার ধাপ সমূহ
০১. আবেদনপত্র জমা নেয়া
০২. বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করা
০৩. বেসিক ক্লিয়ারেস্ন
০৪. ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই
০৫. প্রিন্টিং শাখায় প্রেরণ
০৬. তৈরী পাসপোর্ট বিতরণ করা
ই-পাসপোর্ট
ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রেক পাসপোর্ট যাতি একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ রয়েছে। ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক ( ছবি,ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের কর্নিয়া) তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।এতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টিনাসহ স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থায় ই-গেটের মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপ-এর বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ঠ এবং ডিজিটাল সিগনেচার প্রযুক্তির মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপ-এ ইলেকট্রনিকভাবে সংরক্ষিত তথ্যের প্রকৃত পাসপোর্টধারী ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি ই-গেট অতিক্রম করতে পারবে না। ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের মাধ্যমে অধিকতর নিরাপত্তা সংরক্ষণ ও স্বল্প সময়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন
3. ব্যাংকে পাসপোর্টের নির্ধারিত ফি প্রদান করে ব্যাংক ভাউচার আবেদন ফরম এর সঙ্গে সংযুক্ত করুন।
4. পূরণকৃত ফরম সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্হিত হয়ে জমা দিন।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
1। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
2। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
3। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
4। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারি যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৬। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ নম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ।
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ গ্রহণযোগ্য হবে।
৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
১০। ১৮ বছরের নিম্নে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
১৮। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
১৯। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদশন করতে হবে।
২০। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২১ ) www.epassport.gov.bd এই ঠিকানায় প্রবেশ করে Application Status অপশন থেকে ডেলিভারী রশিদে প্রদত্ত আপনার Enrolment ID এবং Date of Birth প্রদান করে আবেদনের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারবে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস